• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন |
  • English Version

মানবতার সেবায় দেখতে যান পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান

এম.এ মোস্তাইন বিল্লাহ
 দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
 গত ২৪ মে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর বিষয়টি বিভিন্ন মহলের নজরে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় নজরে আসে সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের। তিনি আজ বৃহস্পতিবার ২৮মে, চরআমখাওয়া ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে  গিয়ে আহতদের দেখে ঘটনা যাচাই করেন। আহত ও আহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রকাশ থাকে যে,
 মহামারী (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশ অঘোষিত লকডাউন করা হয়। তার ধারাবাহিকতায়, জামালপুর জেলাকেও লকডাউনের আওতায় আনা হয়। বাংলাদেশের খাদ্যের চাহিদা পুরণের লক্ষে, বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায়, গ্রাম থেকে শ্রমিক নিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকার ধান কাটার ব্যবস্থা করা হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মতিউর রহমান কৃষি অফিসের ছাড়পত্র এনে, লংকারচর গ্রামের ২৬ জন দিন মুজুরকে এনে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। গত ২ মে সকালে মতিউর রহমান মেম্বার প্রতিজনের ১০০০ টাকা ভাড়ায় তার নিজের মালবাহী পিকআপ ভ্যান ঠিক করেন। শ্রমিক ধরবে ১৫/১৬ জন।সেখানে ২৬ জন শ্রমিক গাড়ীতে উঠায় ঢাকার উদ্যেশে ছেড়ে যায়।
বিধিবাম গাড়ীটি ময়মনসিংহের ভালুকায় বিকেল তিনটার দিকে দূর্ঘটনার পতিত হয়। ঘটনা সময় একই পরিবারের ৪জন সহ ২০/২২ জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
আহত ছালাম জানান- গুরুত্ব আহত দুল্লো (৩৫) পিতা জসমত আলীকে দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালে রাত ৮ টার দিকে আনারপর সে মারা যায়।
বাকী আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে পুংগু অবস্থায় তাদের দিন কাটছে।
এদের মধ্যে একজন মুমূর্ষু অবস্থায়  আলম (৩২) পিতা আজিজুর রহমান ঢাকা দন্ত হাসপাতালে মৃত্যের সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
তাছাড়া শফিকুল(৪০) আলতাব(৩৫).
আঃ ছালাম পিতা আজিজুর রহমান, লুৎফর, জামাল, আজিজ, আমজাদ, সাদ্দাম, আরজ আলী  বকুল সবার বয়স ৩০হতে ৪০ বছর পর্যন্ত। এরা আহত অবস্থায় বাড়িতে অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন। ২০/২২ দিন অতি বাহিত হয়ে গেলেও গোপন রেখেছেন এ দুর্ঘটনার কথা। যেন ইউপি সদস্য ঘটনাটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। করোনা আতঙ্কের ভয়ে ও ইউপি সদস্যর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি নিহত ও আহতদের স্বজনরা।
আহতদের বাড়ীতে নেই কোন সরকারী সহযোগিতা।
 আহতের স্বজনরা জানান, মতিউর রহমান মেম্বার সহযোগীতা তো দুরের কথা, দুচোঁখ দিয়ে একনজর দেখতেও আসেনি।
এলাকাবাসী বলেন- অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ী চালানোর জন্য আজ ২০টি পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। নেই তাদের খাবার, নেই কোন আয়ের পথ। কি করবে ভেবে পারছে না তারা। সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।
পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন- আহতদের খোঁজ খবর না নিয়ে অমানবিক কাজ করেছেন এই মেম্বার। তিনি নিজ উদ্যোগে আহতদের পরিবারেরকে সহযোগিতা করবেন। প্রশাসনিক ভাবে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবেন। তিনি আরও বলেন- নিহত ও আহতদের সকল প্রকার আইনি সহযোগিতা দেয়া হবে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন মামলা করা হয় নি


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।